অনলাইন ডেস্ক
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত দুই ধর্ষক।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস পূর্বে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে ধর্ষণের শিকার ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী। এরপর বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমতলা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে ইন্দুরকানীর পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে মামা বাড়িতে বেড়াতে আসে।
তার মামারা তাকে সেখানে আশ্রয় না দেওয়ায়, প্রতিবেশী জাহিদ (৩০) নামে বিবাহিত এক যুবক ওই মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়। এরপর থেকে সে সেখানেই ছিল।
গেল শনিবার বিকেলে মেয়েটি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বালিপাড়া বাজারে মনির (৩০) নামের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর দোকানে যায়।
কোমল পানীয়ের সঙ্গে কৌশলে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে জাহিদের সহায়তায় মনির মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চর হোগলাবুনিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে আটকে রেখে দুইজন সারারাত ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে রোববার বিকেলে মেয়েটিকে পুনরায় পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে নিয়ে আসার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা মনির এবং জাহিদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এরপর তারা বিষয়টি ইন্দুরকানী থানায় অবহিত করার পর পুলিশ গতকাল সোমবার দুপুরে জাহিদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বিকেলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। তবে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষক মনির এবং জাহিদ।
পুলিশ বিষয়টিকে গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান।
তবে ঘটনাস্থল আরেকটি থানার আওতায় হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।